যে স্বপ্নের মধ্যে সীমানা থাকে তাকে কি স্বপ্ন বলা যাবে? সে যাত্রাকে কি স্বপ্ন যাত্রা বলা যাবে যার কিনা শেষ আছে? শেষই যদি হবে তবে তা আর স্বপ্ন কেন?
ছোট বেলা থেকেই আমাদেরকে স্বপ্ন দেখানো হয়। বড় হয়ে আমাদের অর্জন কি হবে কিংবা কি হওয়া উচিত তা নিয়ে। সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে অনেক কিছুই বলা হয়, যেটি বলা হয় না তা হল নিজেকে চেনার কথা। অথচ যে স্বপ্ন দেখে যাচ্ছি তা পূরণ করতে হলে সবার প্রথম নিজেকেই যে চিনতে হবে সে উপলব্ধিটুকুই আমাদের নেই।
আমাদের অভিযোগের কোন শেষ নেই। নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত আমরা। কিন্তু কখনো হয়ত অনুভবই করি না যে আমাদের সমস্যার জন্য অনেকাংশে আমি নিজেরাই দায়ী। সেখানে তা সমাধানের জন্য আরেকজনের দিকে তাকিয়ে থাকলে এগিয়ে যাবো না কখনই। সমস্যার জন্য দায়ী করে আমরা সবসময় বলি আমাদের দেশে সঠিক নেতৃত্ব নেই। নেতৃত্ব নিয়ে যখনই কথা হয় আমরা কিছু সুমহান গুনাবলির কথা বলি। কিন্তু বলি না যে আমাদের জায়গা থেকে আমরা কি করতে পারতাম। না বলার কারনটা, হয়তো আমাদের মাঝে সে বিশ্বাসই নেই যে আমরাও পারি।
বুঝতে পেরেছিলাম যে, যদি তীব্র ইচ্ছা থাকে তবে ঐ সব ছাড়াও এগিয়ে যাওয়া যায়, অন্যদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও যায়। তখন থেকেই চেষ্টা করেছি নিজেকে গড়ে তোলার। ২০১৪ সালে যখন আবার বিজিএন এর নির্বাচন হয় তখন আমি প্রতিনিধিত্ব করি বিজিএন প্রেসিডেন্ট এর পদটির জন্য। জানি না কোথা থেকে পেয়েছিলাম ঐ সাহস, তবে ঠিকই দায়িত্ব পেয়েছিলাম দেশ সেরা প্রায় ২৫০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে গঠিত বিজিএন’র প্রধান হিসেবে কাজ করার। নিজেকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা পূরণ হল। তবে যুদ্ধ মাত্র শুরু। এত বড় দায়িত্ব পালনের কোন যোগ্যতা তখনও আমার হয়ে উঠে নি। নিজেকে গড়ে তোলার আসল কাজটা এবার যে করতেই হবে। যে কাজটা আজ অবধি করে যাচ্ছি। কাউকে কিছু প্রমাণ করতে চাইনি কোনদিন শুধুমাত্র নিজেকে প্রমাণ দিতে চেয়েছি যে ‘আমি পারি’। আমি জানি আমি কোন জায়গা থেকে নিজেকে কোথায় নিয়ে এসেছি এবং কোথায় নিয়ে যেতে চাই।
Leave a Reply