বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করেই চাকুরিতে যোগ দিতে আমরা প্রায় সবাই ই চাই। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বেশিরভাগ সময় আমাদের কাটে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা আর বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ হওয়ার আগে আমরা কেউই ক্যারিয়ার নিয়ে বিশেষ ভাবিনা। আবেদন প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় দক্ষতা, বাছাই প্রক্রিয়া, প্রফেশনাল এটিকেট সম্পর্কে আমাদের সঠিক জ্ঞানের প্রচুর ঘাটতি থাকে। ফলে আমরা পছন্দের চাকুরি বা ইন্টার্নশিপের সুযোগটি হারাই। কোন প্রফেশন বেছে নেবো সেটা নিয়েও আমরা সন্দিহান থাকি। কাজের পরিবেশ কেমন হবে সেটা নিয়েও অনেকের ধারণা থাকেনা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এই বিষয়গুলোকে খুব একটা গুরুত্ব না দেওয়ার ফলাফল পড়াশোনা শেষে আমাদের ভালো মতনই ভুগতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই ২০১৬ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি)র একটি অংশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে অফিস অফ প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওপিডি)। read more
Have you ever been a class captain? If you have, you may remember that as a “captain” of the class, you had certain authority as well as responsibilities. These responsibilities generally included to report and resolve class related issues. For example, if there was a fight in your classroom, it might have been within your jurisdiction to fix that problem. On the other hand, if you were one of the students who had a fight with a fellow classmate, you probably expected that your class captain had a role to play in resolving it. read more
Over the years that I have been affiliated with BYLC, I met graduates who accomplished concrete goals at an age I deemed too young to achieve anything. I find their stories fascinating and look forward to learning about their perspectives towards life. read more
আমরা প্রায়ই আফসোস করে বলি-“পরিবেশটা ধ্বংস হয়ে গেলো।” পরিবেশ দূষণ কমানো কি আদৌ খুব কঠিন কাজ? এর দায় কি শুধুই সমাজের হর্তাকর্তাদের? আমিও তো এই পরিবেশেরই একটা অংশ। দায় তো আমারও আছে। কোনোদিনও কি ভেবেছি আমার একটু খানি বদলে যাওয়া এই পরিবেশটাকে বাঁচাতে পারে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু সহজ অভ্যাসের কথা যা আমাদের পরিবেশটাকে করে তুলতে পারে আরও সুন্দর।
১.বেছে নিন বাইসাইকেল

বাইসাইকেল ব্যবহারে ভালো থাকবে পরিবেশ
ছবিসূত্রঃ Inhabitat
অল্প দূরত্বের পথ পাড়ি দিন বাইসাইকেলেই। পরিবেশ তো ভালো থাকবেই, শরীরটাও ভালো থাকবে, যানজটের ঝামেলা পোহাতে হবেনা। উপরন্তু বেঁচে যাবে খরচটাও। এই অভ্যাসটি গড়ে তুলতে পারলে পরিবেশ দূষণ কমানোর পাশাপাশি লাভবান হবেন আপনি নিজেও।
২.যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করুন

ময়লা ফেলুন নির্দিষ্ট জায়গায়
ছবিসূত্রঃThe Indian Express
এটি বহুল প্রচলিত কথা হলেও বহুল অমান্য ও বটে। আমরা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলাটাকে খুব একটা গুরুত্বের সাথে দেখিনা। ধরণ অনুযায়ী ময়লা ফেলুন নির্দিষ্ট জায়গায়। নেহাতই আশেপাশে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা না থাকলে সেটি সংরক্ষণ করুন। আরেকটা বদভ্যাস হলো রাস্তাঘাটে কফ বা থুতু ফেলা। এটি একদিকে যেমন রাস্তাঘাট নোংরা করে তেমনি ছড়ায় রোগজীবাণু।
৩.রিসাইক্লিং পণ্যকে প্রাধান্য দিন

রিসাইক্লিং পণ্য ব্যবহার করুন
ছবিসূত্রঃPinterest
রিসাইক্লিং পণ্য সবসময়ই পরিবেশবান্ধব। যতদূর সম্ভব রিসাইক্লিং পণ্য নিজে ব্যাবহার করুন এবং অন্যকে উৎসাহিত করুন।এতে খরচও কমবে আর পরিবেশ ও ভালো থাকবে। ব্যবহার্য জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেলে সেটা ফেলে না দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করতে পারেন।
৪.পানির অপচয় ও দূষণ রোধে সচেতন হোন

পানি দূষণ রোধে সচেষ্ট হোন
ছবিসূত্রঃCPCB ENVIS
পানির যথেচ্ছ ব্যবহারকে না বলুন। গোসল কিংবা হাতমুখ ধুতে গেলে আমরা অকারণেই কলের পানি ছেড়ে রাখি। এতে করে অপ্রয়োজনে নষ্ট হচ্ছে প্রচুর পানি। একদিকে আমরা পানি নষ্ট করছি, অন্যদিকে পৃথিবীর আরেক প্রান্তে মানুষ সুপেয় পানির অভাবে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। অচিরেই হয়তো এই দুর্দিন আমাদের ও দেখতে হবে যদি না আমরা পানি অপচয় বন্ধ করি। পানিদূষণের জন্য প্রত্যক্ষ ভাবে যে কারণগুলোর জন্য আপনি দায়ী সেগুলো বন্ধ করুন। বর্জ্য পানিতে ফেলবেন না।
৫.পাল্টে ফেলুন খাদ্যাভাস

অরগানিক খাবার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুই ই ভালো রাখবে
ছবিসূত্রঃKerala Breaking News
ভেজাল এবং রাসায়নিক উপাদানমুক্ত অর্গানিক খাবার গ্রহণ করুন। তাহলে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত খাবারের বাজার কমবে আর পরিবেশও ভালো থাকবে। বারান্দায়, ছাদে কিংবা বাড়ির সামনের ফাঁকা জায়গাটিতে কিছু শাকসব্জির চাষ করা যেতে পারে। এতে যেমন খরচ কমবে, পরিবেশ ভালো থাকবে তেমনি সুস্থ থাকবেন আপনি নিজেও।
৬.বদলে ফেলুন বাতি

পরিবেশ বান্ধব এলইডি বাতি
ছবিসূত্রঃ Latest Cool Gadgets from China
এলইডি বাতি ব্যবহার করুন। এলইডি বাতির ব্যবহারে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় প্রায় ৯০ ভাগ।আর এটি পরিবেশবান্ধব ও বটে।
৭.বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যাবহারে সাশ্রয়ী হোন

শক্তির সঠিক ব্যবহার করুন
ছবিসূত্রঃ133RF. com
প্রয়োজন শেষে লাইট ও ফ্যানের সুইচ বন্ধ করুন। অকারণে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখবেন না। মনে রাখবেন জ্বালানি সাশ্রয়ের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ কমানো যেতে পারে অনেকাংশে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করুন।
৮.গাছ লাগান

পরিবেশ বাঁচাতে গাছ লাগান
ছবিসূত্রঃSave trees Save Earth
সুযোগ পেলেই গাছ লাগান। যারা শহরাঞ্চলে থাকেন তারাও গাছ লাগান।বারান্দায় কিংবা ছাদে বাগান করতে পারেন। সবুজে বাঁচুন। মন যেমন স্নিগ্ধ থাকবে, তেমনি পাবেন অক্সিজেনের যোগান।
৯.নিজে জানুন, অন্যকে জানান

পরিবেশ দূষণরোধে চারপাশের মানুষকে জানাতে পারেন
ছবিসূত্রঃGym Junkies
পরিবেশ রক্ষায় আগে নিজে সচেতন হোন। আপনার কাজে কর্মে, অভ্যাসে, আচরণে প্রকাশ পাক পরিবেশের প্রতি আপনার ভালোবাসা। এতে করে আপনাকে দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হবে। কোন আড্ডা বা গল্পছলে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। আর লেখালেখির মাধ্যমেও মানুষকে জানানো যেতে পারে এবং করে তোলা যেতে পারে সচেতন।
পরিবেশ না বাঁচলে আমাদের অস্তিত্ব টিকে থাকার কোনো প্রশ্নই আসেনা। পরিবেশকে ভালোবাসুন, এতে আপনারই লাভ। আমাদের ছোটো ছোটো এই অভ্যাসগুলোই সুন্দর করবে আমাদের পরিবেশ। আসুন পরিবর্তন আনি নিজের মাঝে, বাঁচাই পরিবেশ।
ফিচার ছবিসূত্রঃ bambegin smile